—
১️⃣
হঠাৎ মন পরিবর্তন – আগে খুব ভালোবাসতো, এখন অকারণে ঘৃণা বা বিরক্তি দেখা দেয়।
২️⃣
অল্প বিষয়ে বড় ঝগড়া – একে অপরের কথা শুনতে না চাওয়া, শান্ত মুহূর্তও অশান্তিতে পরিণত হওয়া।
৩️⃣ 
দূরে যাওয়ার ইচ্ছা – একসাথে থাকতে ইচ্ছা না করা, আলাদা থাকতে ভালো লাগা।
৪️⃣
স্বপ্নে অদ্ভুত দৃশ্য দেখা – আগুন, অন্ধকার, ভয়ানক প্রাণী, সাপ, ঝগড়ার স্বপ্ন ইত্যাদি।
৫️⃣
ঘরে বারবার অশান্তি হওয়া – কোনো কারণ ছাড়াই মন খারাপ লাগা বা অস্থিরতা।
৬️⃣
নামাজে মন না বসা – কুরআন তেলাওয়াত বা রুকইয়াহ শুনলে বিরক্তি, ঘুম বা মাথা ব্যথা শুরু হওয়া।
৭️⃣
সন্দেহ ও অবিশ্বাস জন্মানো – স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি অকারণে সন্দেহ, বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাওয়া।
—

হঠাৎ শরীরে ভার লাগা বা বুক চাপ ধরা 
মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা বা বুকে জ্বালা অনুভব করা 
ঘরে কাক, বিড়াল বা পোকামাকড়ের অস্বাভাবিক আচরণ 

নামাজ বা কুরআন পড়ার সময় কান্না আসা বা ভয় লাগা 
—
কারণ এসব জাদু বা আত্মিক আক্রমণ শুধুমাত্র ওষুধে সারানো যায় না।
এটি কোনো তাবিজ-কবজ নয়, বরং কুরআন ও সহিহ দোয়ার মাধ্যমে করা হয় 
—
১️⃣ সূরা আল-বাকারা (২:১০২) — জাদুর মূল ঘটনা বর্ণনা করে
২️⃣ সূরা আল-আ’রাফ (৭:১১৭–১২২)
৩️⃣ সূরা ত্বাহা (২০:৬৯)
৪️⃣ সূরা ইউনুস (১০:৮১–৮২)
৫️⃣ সূরা আল-ইখলাস, আল-ফালাক, আন-নাস (শেষ তিন সূরা)
৬️⃣ আয়াতুল কুরসি (২:২৫৫)
—
১️⃣ অজু করে শান্ত স্থানে বসুন
২️⃣ উপরোক্ত আয়াত ও সূরাগুলো ধীরে ধীরে পড়ুন
৩️⃣ নিজের উপর বা পানিতে ফুঁ দিন
৪️⃣ সেই পানি পান করুন ও গোসলেও ব্যবহার করুন
৫️⃣ প্রতিদিন সকাল ও রাতে রুকইয়াহ চালিয়ে যান (৭–২১ দিন নিয়মিত)
—
নামাজ নিয়মিত কায়েম করুন 
কুরআন তেলাওয়াত করুন ও ঘরে চালান 
পরস্পরের জন্য দোয়া করুন 
ঘরে “আয়াতুল কুরসি” ও “সূরা বাকারা” পাঠ চালু রাখুন 
ঘরের পরিবেশ পরিশুদ্ধ রাখুন (সুরা বা যিকির বাজানো উপকারী) 
—
যদি উপরোক্ত লক্ষণগুলোর কয়েকটি একসাথে দেখা দেয়,
—
>
“রুকইয়াহ হলো আল্লাহর কালাম দ্বারা শিফা লাভের এক বরকতময় উপায়।”
‘ওয়া নুনায্যিলু মিনাল কুরআনি মা হুয়া শিফাউঁ ওয়া রহমাতুল লিল মুমিনীন’
তিনিই মিলন ঘটান, তিনিই শান্তি দানকারী 
—