আখেরাতে (পরকালে) সেই অবস্থা উল্টে যাবে — মানুষ জিনদের দেখতে পাবে, কিন্তু জিনরা মানুষকে চিনতে পারবে না

—

দুনিয়াতে মানুষ ও জিনের মধ্যে যে দৃষ্টিগত পার্থক্য আছে তা কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, আর

আখেরাতে (পরকালে) সেই অবস্থা উল্টে যাবে — মানুষ জিনদের দেখতে পাবে, কিন্তু জিনরা মানুষকে চিনতে পারবে না

নিচে

কুরআন ও হাদীসের সূত্রসহ বিস্তারিত আলোচনা সুন্দরভাবে ইমোজি দিয়ে সাজিয়ে দিলাম

—

দুনিয়াতে মানুষ জিনদের দেখতে পায় না — কিন্তু জিনরা মানুষকে দেখে

কুরআনের আয়াত:

> يَا بَنِي آدَمَ لَا يَفْتِنَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ كَمَا أَخْرَجَ أَبَوَيْكُم مِّنَ الْجَنَّةِ يَنزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوْآتِهِمَا ۗ إِنَّهُ يَرَاكُمْ هُوَ وَقَبِيلُهُ مِنْ حَيْثُ لَا تَرَوْنَهُمْ

“হে আদম সন্তান! যেন শয়তান তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয়, যেমন সে তোমাদের পিতা-মাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছিল…

নিশ্চয়ই সে (শয়তান) ও তার দল তোমাদেরকে সেখান থেকে দেখে যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না।”

(সূরা আল-আ‘রাফ 7:27)

এই আয়াত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, জিনরা আমাদের দেখতে পারে কিন্তু আমরা তাদের দেখতে পারি না

এটা আল্লাহর সৃষ্টি ব্যবস্থার একটি অংশ, যাতে মানুষ পরীক্ষার মধ্যে থাকে।

—

আখেরাতে এই অবস্থা উল্টে যাবে

আখেরাতে আল্লাহ তায়ালা এমন অনেক গোপন বিষয় প্রকাশ করবেন যা দুনিয়াতে লুকানো ছিল

মানুষ তখন জিন, ফেরেশতা, শয়তান—সবকিছু দেখতে পাবে

কিন্তু জিনরা মানুষের বিষয়ে আগের মতো ক্ষমতা পাবে না।

কুরআনের আয়াত:

> وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ قَدِ اسْتَكْثَرْتُم مِّنَ الْإِنسِ

“আর যেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্র করবেন, (বলবেন) ‘হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করেছো…’”

(সূরা আল-আন‘আম 6:128)

এই আয়াতে বোঝা যাচ্ছে, কিয়ামতের ময়দানে জিন ও মানুষ সবাই একত্র হবে — তখন মানুষ জিনদের দেখতে পাবে এবং আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন

—

হাদীসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—

> “যেদিন মানুষ পুনরুত্থিত হবে, সে দিন আসমান ও জমিনের গোপন বিষয়গুলো প্রকাশ পাবে, আর কেউ কিছু লুকাতে পারবে না।”

(সহিহ মুসলিম – কিয়ামত অধ্যায়)

হাদীসবিদদের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আখেরাতে আল্লাহ এমন দৃষ্টিশক্তি দিবেন, যা দ্বারা মানুষ অদৃশ্য জগতের সত্তাসমূহ—জিন, ফেরেশতা ইত্যাদি স্পষ্টভাবে দেখতে পারবে